[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

ধর্ষনের শিকার কিশোরী, এখন ৬ মাসের গর্ভবতী। 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধি।

রাজশাহীর বাঘায় এক কিশোরীর বিয়ের ১৫ দিনের মধ্যে ৬ মাসের গর্ভবতী হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানায় শনিবার (৩১ জুলাই) ভুক্তভূগীর পিতা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬ মাস পূর্বে এই কিশোরী কে উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের একটি গ্রামের মাঠে ধর্ষন করা হয়েছে।

 

ভিকটিম(১৬) সাংবাদিকদের জানায়, আমার বাবা ভ্যান চালক, আমরা গরীব অসহায়,তাই বাড়ির প্বার্শে মাঠে নিয়মিত ছাগল চড়াতে ও খড়ি কুড়াতে যায়। ঘটনার ঐদিন আমি মাঠে খড়ি কুড়াতে গিয়েছিলাম তখন সোহেল আমাকে একা পেয়ে জোরপূর্বক একটি গ্যামার ক্ষেতে মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে। সোহেল একই গ্রামের মকবুলের ছেলে। আমি কান্না করলে সে আমাকে ভয় ভীতি দেখায় এবং এই বিষয়ে কাউকে কিছু বললে মারধরের হুমকি দেয়। তাই আমি ভয়ে আর কাউকে কিছু বলিনি।

 

মেয়েটির মা জানায়, গত ১৪ ই জুলাই আমার মেয়ের অন্য এক ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছিলাম। জামাই আমাদের জানায় মেয়ে অসুস্থ ডাক্তার দেখান। পরে বাঘাতে এক ক্লিনিকে পরীক্ষা করে দেখা যায় রিপোর্টে আমার মেয়ে ৬ মাস ৯ দিনের গর্ভবতী। আমার মাথা ঠিক নেই এ কথা জেনে।

 

ভিকটিম এর বাবা বলেন, গরীব মানুষ বলে কারও কাছে বিচার পাইনি। ওরা আমাদের পরিবারকে সব সময় মারধরের হুমকি দিচ্ছে ,বাড়ি থেকে বাহির হতে পারছিনা। স্থানীয় মেম্বার এর কাছে বার বার গিয়েও কোন বিচার পাইনি, চেয়ারম্যান ও করোনার জন্য বিচার শালিসে আসতে পারবে না বলেছে। তাহলে কি আমরা কোন বিচার পাব না ? বাধ্য হয়ে থানায় মামলা করি।

 

এবিষয়ে ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মতিন বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে আমি জানি। ঘটনাটি জটিল হওয়ায় ভুক্তভোগীদের থানায় যেতে বলেছি।

 

মনিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে ভুক্তভোগী মেয়ের মায়ের মুখে শুনেছি। একে-তো করোনা তারওপর বিষয়টি জটিল হওয়ায় আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

 

এ ঘটনায় মামলার আসামী সোহেলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার পরিবার জানিয়েছেন তাদের ছেলে এমন জঘন্য কাজ করতেই পারে না।

 

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে একটি ধর্ষন মামলা হয়েছে। অভিযান চলছে আসামীকে আটকের জন্য এবং ঐ ভিকটিম কে রাজশাহীতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *